জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। আগামী অর্থবছরে সরকারকে মোট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ও দায়যুক্ত তহবিলের অর্থব্যয়ের অনুমোদন দিয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
এর আগে সরকারের এক বছরের ব্যয় মেটাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য ৫৯টি বরাদ্দ দাবি ও সেগুলোর ওপর ছাঁটাই প্রস্তারে আলোচনায় সরকারের সমালোচনা করেন বিরোধী দলের সদস্যরা। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সোমবার সংসদ অধিবেশনের শুরুতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ব্যয় নির্বাহের জন্য বরাদ্দ ও মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করা হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এসব দাবি সংসদে উপস্থাপন করেন।
বিরোধী দলের সদস্যরা এসব দাবির বিপরীতে ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। তবে কেবল বাণিজ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। এ আলোচনায় নিত্যপণ্যের দামের উর্ধগতি, স্বাস্থ্য সেবার নাজুক চিত্র তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন করেন বিরোধী দলের সদস্যরা।
বিরোধী দলের এসব সমালোচনার জবাব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দাবি সংসদে তুলে ধরেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাদবাকি ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো আলোচনা না করে সরাসরি ভোটে দেন স্পিকার। কণ্ঠভোটে সব ছাঁটাই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। প্রতিটি মঞ্জুরি দাবি আলাদাভাবে পাস হয়।
এরপর নির্দিষ্টকরণ বিল ২০২৩ সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বিলটি কণ্ঠভোটে সর্বসম্মভাবে পাস হয়। এরমধ্যদিয়ে পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংসদে পাস হলো।
আসছে পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর হবে নতুন বাজেট।