আমাদের প্রায় অনেকেরই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কোনো না কোনো সবজি থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে সবুজও টাটকা শাক-সবজির বিকল্প নেই। তবে সকলেরই উচিৎ খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি রাখা।
বাজারের পাওয়া যায় এমন প্রায় অধিকাংশ শাক-সবজিই কেমিক্যাল যুক্ত। শাক-সবজি থেকে ফলমূল দীর্ঘদিন ভালো রাখতে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়। আর যদি এসব কেমিক্যাল পেটে যায় তাহলে শরীরের পুষ্টির বদলে শরীরে প্রবেশ করবে নানা রকমের জীবাণু যার কারণে শরীর রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বে।
এজন্য বাজার থেকে শাক-সবজি ক্রয় করার আগে তাতে কোনো রাসায়নিক আছে কি না তা দেখে ক্রয় করা উচিৎ।
চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বুঝবেন ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি-
আলুর ক্ষেত্রে
অনেক শাক-সবজি আছে যেগুলোতে কৃত্রিমভাবে রং করা থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আলুতে কোনো রকম রং করা হয় না। এক ধরনের গেরুয়া মাটি দিয়ে আলুর ওপরে প্রলেপ লাগানো হয়।
বেশিরভাগ আলুই যেহেতু আসে কোল্ডস্টোরেজ থেকে, যার ফলে আলুগুলো কালচে হয়ে যায়। কালচেভাব দূর করার জন্যই বিক্রেতারা এই ব্যবস্থা নেন। তবে এই মাটি ক্ষতিকারক নয়। পানিতে ভালো ভাবে আলু ধুয়ে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
রাঙা আলু
তবে অতিরিক্ত গোলাপি বা লালচে রাঙা আলু কিনবেন না। আবার অনেকেরই ধারণা থাকে, রাঙা আলু যত বেশি গোলাপি বা লাল হবে; ততই ভালো। এ আলুতে কিন্তু রং করা হয়। তাই লাল টুকটুকে আলু না কিনে একটু ফ্যাকাশে সেগুলো কিনুন।
সবজির ক্ষেত্রে
সব সময় টাটকা সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলুন। আবার অনেকেই আছেন যারা বেছে বেছে বড় আকারের সবজি কেনেন। যেমন মাটির তলার সবজি – আলু, রসুন, পেঁয়াজ, মুলা, বিট ইত্যাদি।
তবে মনে রাখবেন, মাটির তলার বা মাটির কাছাকাছি যে সবজিগুলো হয় সে সবজি গুলোতে বেশি মাত্রায় কীটনাশক থাকার সম্ভাবনা আছে। এজন্য বাজার থেকে সবজি কেনার সময়ে ছোট আকারেরটি বেছে কিনুন।