দেশের সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহার করে অর্থনীতিকে আরও গতিশীল, শক্তিশালী ও মজবুত করার আশাবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪১তম ব্যাচ ক্যাডেটদের ‘মুজিববর্ষ পাসিং আউট প্যারেড’ অবলোকন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমাদের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল, শক্তিশালী, মজবুত করতে পারি। তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে এমডিজি খুব সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি। আমরা এসডিজিও সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। করোনার কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা এগিয়ে চলেছি। অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই আমরা সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি।

মেরিন ফিশারিজ একাডেমির কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা এ দিকে তেমন নজর দেয়নি। ফলে নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল এ একাডেমি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন।

১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রণীত আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরবর্তীতে সমুদ্রসীমা অর্জন করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করে তারা এদিকে নজর দেয়নি বলে জানান সরকারপ্রধান।

আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই মেরিন একাডেমির উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এবার মেরিন একাডেমি থেকে ৮৪ জন ক্যাডেট পাস করেছেন। স্বাধীনতা নীতি এবং আদর্শ এই নব্য নাবিকদের মেনে চলার নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।

উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশের উন্নত-সমৃদ্ধ হবে সেটাই আমরা বিশ্বাস করি।