সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন ও পিআইডি কার্ড ফেরতের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালত নামঞ্জুর করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ আবেদন করেছিলেন। এরপর এই বিষয়ে শুনানির জন্য আদালত রবিবার দিন ধার্য করেন।
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন ও পিআইডি কার্ড ফেরতের আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক।
গত ২৩ মে রোজিনা ইসলামকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চ্যুয়াল আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানিতে আপত্তি দেননি।
তিনি আদালতকে বলেন, পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে জামিন দিলে আমাদের আপত্তি নেই। এরপর আদালত পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১৮ মে মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে দিয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠান। এর আগে গত ১৭ মে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে সচিবালয় থেকে পুলিশি পাহারায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। পরবর্তীতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সরকারি নথি সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/৫ এর ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।