বাংলাদেশের সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্র যে অনুদান দিয়েছে, তা কোথায়-কীভাবে ব্যয় হয়েছে, তার তথ্য চেয়েছে বাইডেন প্রশাসন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ তথ্য ওয়াশিংটনকে জানাতে হবে। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে এ ধরনের অনুদান পেতে নতুন চুক্তি সই করতে হবে। ঢাকার একাধিক কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, প্রতি বছর বাংলাদেশকে বিরাট অঙ্কের সামরিক অনুদান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এটি বিভিন্ন বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যয় হয়। একই সঙ্গে বিদেশে সামরিক অনুদান প্রদানবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনে বাইডেন প্রশাসন সংশোধনী এনেছে। যেখানে বলা হয়েছে, কোনো দেশের নিরাপত্তা সংস্থা বা বাহিনী যদি নির্যাতন, আইনবহির্ভূত হত্যা, গুম ও ধর্ষণজনিত কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে ওই সংস্থাকে অনুদান দিতে পারবে না মার্কিন সরকার। এ ক্ষেত্রে আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে- এমন কোনো সংস্থা বা বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পাবে না। এই সংশোধনী চূড়ান্ত হওয়ার পরই ওয়াশিংটন ঢাকাকে এ-সংক্রান্ত কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সাড়ে সাত কোটি ডলার (প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা) সামরিক অনুদান হিসেবে পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফরেন মিলিটারি ফাইন্যান্সিং এবং আন্তর্জাতিক মিলিটারি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। এ ছাড়া ২০১৩ ও ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি নৌজাহাজ দেওয়া হয়েছে। শান্তিরক্ষী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য ৫০টি আর্মাড পারসোনেল ক্যারিয়ার দিয়েছে। ২০০৫ থেকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের জন্য সাড়ে চার কোটি ডলার (প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা) ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো দেশ অনুদান দিলে সেই অর্থ কোথায়-কীভাবে ব্যয় হয়, তা জানার অধিকার তাদের রয়েছে। বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। সবদিক ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।