গ্রাহকের টাকা লুটের দায়ে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) (বরখাস্ত) সোহেল রানাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

পুলিশের এনসিবি শাখা থেকে রোববার ভারত এনসিবিকে চিঠি পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার আবারও অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত করে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদরদফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত রোববার ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত এনসিবিকে সে দেশে গ্রেফতার রাজধানীর বনানী থানার পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানাকে (সাময়িক বরখাস্ত) ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ধরা পড়েন সোহেল রানা। শনিবার ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়।

বিএসএফের হাতে আটক সোহেল রানা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বনানী থানার এ পুলিশ পরিদর্শকের বোন ও ভগ্নিপতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’ পরিচালনা করতেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা অপরাধমূলক একাধিক কাজে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএসএফের কর্মকর্তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, সম্ভবত গা ঢাকা দেওয়ার লক্ষ্যে ভারতে প্রবেশ করেছেন সোহেল রানা।

সর্বশেষ গত রোববার বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হওয়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের কাছে আবেদন করেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।