বল হাতে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইনিংস। এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার সুনীল নারাইন রেকর্ডটা গড়লেন ব্যাট হাতে। প্লে-অফের ম্যাচে গতকাল যখন বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে কলকাতার ম্যাচটা দুলছে পেন্ডুলামের মতো, তখনই ব্যাট হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নারাইন।
সোমবার রাতে তিনি যখন ব্যাট করতে আসেন, তখনো দলের চাই ৫৪ বলে ৬০ রান। সাজঘরে তখনো ছিল অইন মরগ্যান, সাকিব আল হাসান, ও দীনেশ কার্তিকদের মতো ব্যাটাররা। তাদের রেখেই উইকেটে পাঠানো হয় নারাইনকে। নেমেই ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের প্রথম বলটা ফাইন লেগের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলেন বাউন্ডারিতে।
পরের বলে স্টাম্পের ওপর করা ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের ফুলার লেন্থের বলটা মিড উইকেট দিয়ে সীমানাছাড়া করেন। এরপরের বলটা হলো ওয়াইড। এর পরই আরও একটা ছক্কা, ক্রিশ্চিয়ান এবারও বলটা করেছিলেন ফুলার লেন্থে, অফস্টাম্পের একটু বাইরে। সেটা লং অফের ওপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে নিয়ে ফেলেন তিনি।
তাতেই আইপিএলের ইতিহাসে এক বিরল নজির গড়ে ফেলেন নারাইন। তার আগে যে কোনো ব্যাটার আইপিএলে নিজের ইনিংসের প্রথম তিন বলেই তিনটি ছয় মারতে পারেননি, তিনিই প্রথম!
নারাইনের ইনিংসটা অবশ্য খুব একটা বড় হয়নি। তবে তার ১৫ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসটাই বদলে দিয়েছিল ম্যাচের রঙ। উল্লেখ্য এর আগে বল হাতেও বল হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন নারাইন। তার ৪ ওভারে তিনি স্রিকার ভারত, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের শিকারে পরিণত করেন। তাতে আরসিবি চলে যায় ব্যাকফুটে। প্রথম উইকেটে ৪৯ রানের পরও যে বেঙ্গালুরুর ইনিংস পেরোয়নি ১৪০ও, সে কৃতিত্বটা তো তার বোলিংয়েরই।
১৩৯ রান তাড়া করতে নেমে কলকাতাও শুরুটা ভালোই করেছিল। আইয়ের ২৬, রানা ২৩, গিল ২৯ রান করে কেকেআরকে লড়াইতে রাখলেও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতেছিলেন নারাইনই। তার তিন ছক্কাতেই তো ম্যাচের লাগাম বেঙ্গালুরুর হাত থেকে কেড়ে নিয়েছিল কলকাতা। মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ বোলিংয়ে এরপর বিরাট কোহলিদের ম্যাচে ফেরার আশা সৃষ্টি হলেও সাকিব আল হাসানের ফিনিশিং টাচ ম্যাচটা কেড়ে নেয় বেঙ্গালুরুর হাত থেকে।