অবশেষ অবসান ঘটল আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কলিভিল শহরের সিনাগগের (ইহুদি উপাসনালয়) জিম্মি ঘটনার। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা জিম্মিকারীর সঙ্গে আলোচনা ও নানা তৎপরতার পর জিম্মিদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তবে জিম্মিকারী নিহত হয়েছে।
ঘটনার অবসানের আগে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। উদ্ধারকারী দল সিনাগগের ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন। তবে কীভাবে জিম্মির মৃত্যু হল বা তার পরিচয় কী তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগে শনিবার রাতেই এক জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তার কোনও ক্ষতি করা হয়নি। অন্য কারও কোনো শারীরিক ক্ষতি করার কথা তখন জানা যায়নি।
কংগিগ্রেশন বেথ ইসরায়েল নামের সিনাগগে স্থানীয় সময় শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাবাথের প্রার্থনার সময় ঘটনার সূত্রপাত হয়। ফেসবুকে চলা স্ট্রিমিংয়ের অডিওতে এক ব্যক্তিকে চেঁচিয়ে বলতে শোনা যায়, “আমার বোনকে ফোন দিন। আমি মরতে চলেছি।”
লোকটি আরও বলে, “আমেরিকার কোনও একটা সমস্যা হয়েছে।”
এর কিছুক্ষণ পরেই আশপাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ার আগের খবর অনুযায়ী, সিনাগগের যাজকসহ চার ব্যক্তিকে প্রথমে জিম্মি করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে তখন বলেন, জিম্মিকারী ব্যক্তি সশস্ত্র বলে জানানো হয়েছে। তবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
এফবিআই-এর সংকট বিষয়ক আলোচকরা জিম্মিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ চালান। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
জিম্মিকারীকে পাকিস্তানি স্নায়ুরোগবিশারদ আফিয়া সিদ্দীকির মুক্তি দাবি করতে শোনা গিয়েছিল। আফিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। আফগানিস্তানে বন্দি থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যাচেষ্টার দায়ে তাকে ওই সাজা দেওয়া হয়।
ভিক্টোরিয়া ফ্রান্সিস নামে এক নারী বার্তা সংস্থা আগে এপিকে বলেছিলেন, তিনি লাইভ স্ট্রিমের সময় ওই ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শোনেন। লোকটি আরও বলছিল তার কাছে বোমা আছে।
সূত্র: বিবিসি