দেশে আবারো উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে ৫টি পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

কমিটি করোনা পজিটিভ রােগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০ দিন পর্যন্ত আইসােলেশনে থাকার পাশাপাশি রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন- এমন ব্যক্তির উপসর্গ না থাকলে কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন নেই বলে পরামর্শ দিয়েছে।

বুধবার রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাে. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই পাঁচ পরামর্শের কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৩তম সভা জুম প্ল্যাটফর্মে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ রােগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলােচনা হয়। কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলােচনা শেষে সভায় নিম্নলিখিত সুপারিশ করা হয়।

১. কোভিড-১৯ পজিটিভ রােগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০দিন পর্যন্ত আইসােলেশনে থাকবে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ নিশ্চিত রােগীর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যাক্তি যাদের কোনো উপসর্গ নেই তাদের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়ােজন নেই। তবে তাদের টাইট মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।

২. বিমানবন্দরসহ সব পাের্ট অব অ্যান্ট্রিতে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য কমিটি সুপারিশ করছে।

৩. সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড সব রােগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

৪. মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক জারিকরা প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীদের যেমন- পরিবহণ মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারাসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

৫. জাতীয় পরামর্শক কমিটি জনগণকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করে। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণের সুপারিশ করা হয়।