আফগানিস্তান থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা ১৫ বাংলাদেশির মধ্যে ১২ জন শনিবার দুই দফায় কাতারে পৌঁছেছেন। বাকি তিনজন কাবুল রয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার কাবুল থেকে ওই ১৫ বাংলাদেশির সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ শিক্ষার্থীরও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। এসব আফগান শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫০ জন শনিবার কাতারে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, কাতার থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে আফগান শিক্ষার্থীসহ তারা দেশে ফিরবেন।
গত বৃহস্পতিবার কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় ওই ১৫ বাংলাদেশি ও আফগান শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ১৫ বাংলাদেশির একজন আফগান ওয়্যারলেসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাজীব বিন ইসলাম। তিনিও ১২ বাংলাদেশির সঙ্গে এখন কাতারে আছেন।
গত বৃহস্পতিবারের ওই বোমা হামলার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজীব ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার ক্লান্তি নিয়ে আমরা যখন বিমানবন্দরে প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষায়, তখনই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা তখন বাসে। চারপাশের লোকজনের মতো স্বাভাবিকভাবে আমরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। লোকজনের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। যতটা সম্ভব নিরাপদ দূরত্বে আমরা সরে যাই।’
রাজীব জানান, ওই রাতে আরেক দফা বিমানবন্দরে দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। যখন বুঝতে পারেন ওই রাতে ফ্লাইট ধরার কোনো আশা নেই, তখন একরাশ হতাশা নিয়ে যার যার আবাসের পথে পা বাড়ান।