মিরপুর টেস্টের প্রথমদিন ব্যাট হাতে রাজত্ব করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৩৬২ রান নিয়ে দিন শুরু করা টাইগাররা দ্বিতীয় দিনে থেমেছে ৩৮২ রানে। মাত্র ২০ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে গেছে। এরপর আফগান ব্যাটিং শিবিরে কাঁপন ধরান বাংলাদেশের দুই পেসার এবং দুই স্পিনার। পেসার শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজের দাপটে মাত্র ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান।

আফগানদের ১৪৬ রানে অলআউট করে দেয়ায় প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ এগিয়ে গেলো ২৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। চাইলে সফরকারীদের ফলোঅনও করাতে পারবে বাংলাদেশ। তবে সফরকারীদের ফলোঅন না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ফের ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।

দলীয় ১৮ রানে প্রথমবার উইকেট উদযাপনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ইবরাহীম জাদরান ও আব্দুল মালিকের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। ১৭ বলে ৬ রান করা ইবরাহীম জাদরানকে ফেরান তিনি। পরের ওভারেই আব্দুল মালিককে জাকির হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন এবাদত হোসেন। মাত্র ২৪ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

এরপর ১১ রান যোগ হতেই তৃতীয় উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের। রহমত শাহকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান এবাদত। ৯ রান আসে তার ব্যাটে। সমান ৯ রান করে ফেরেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদী। তাকে মিরাজের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

যদিও পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আফগানরা। দলের হাল ধরেন নাসির জামাল ও আফসার জাজাই। দ্রুত গতিতে রান বের করতে থাকেন দু’জনে। তবে বেশি দূর যেতে পারেনি সেই জুটি। বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী মিরাজ। নাসির জামালকে ফিরিয়ে ভাঙেন ৬৫ রানের জুটি। ৩৫ রান করেন জামাল।

পরের ওভারেই ভয়ংকর হতে থাকা আরেক ব্যাটার আফসার জাজাইকে ফেরান এবাদত। ৪০ বলে ৩৬ রান করা এই ব্যাটারকে শরিফুলের ক্যাচ বানান তিনি। ১১৬ রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানরা। সপ্তম উইকেটের দেখা পেতেও দেরি হয়নি। দলীয় ১২৭ রানে এবাদত আমির হামজাকে ফেরালে বেরিয়ে আসে আফগানদের ইনিংসের লেজ।

লেজে জোড়া আঘাত করেন তাইজুল ইসলাম। ইয়ামিন আহমাদজাইকে কোনো রান করার আগেই ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পান এই স্পিনার। অতঃপর নিজাত মাসুদকেও ০ রানে ফেরান তিনি। আর শেষে করিম জানাতকে (২৩) ফিরিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন মেহেদী মিরাজ। যা তার ক্যারিয়ারের দেড় শ’তম টেস্ট উইকেট।