শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদকে চাপে রেখেছিল লিভারপুল। আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ইংলিশ ক্লাবটি। বিরতির পর কাঙ্কিত সেই গোলের দেখা পায় তারা। সেটাও দুইবার। তাতে ১৫ বছর পর রিয়ালকে হারানোর স্বাদ নেয় লিভারপুল। একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল আর্না স্লটের দল

বুধবার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের হয়ে গোল দুটি করেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও কোডি গাকপো।

মোহাম্মদ সালাহর পেনাল্টি মিস সচরাচর দেখা যায় না। গতকাল বুধবার সেই বিরল দৃশ্যও দেখা গেছে। মিশরীয় তারকার পেনাল্টি মিস হলেও লিভারপুলকে জয় থেকে বিরত রাখতে পারেনি রিয়াল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ৫ ম্যাচে জিতলো লিভারপুল।

 

অ্যানফিল্ডে শুধু সালাই পেনাল্টি মিস করেছেন, ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। স্পট-কিকে গোল মিস করেছেন রিয়াল তারকা কিলিয়ান এমবাপেও।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৫ ম্যাচে পূর্ণ ১৫। সমান ম্যাচ খেলে দ্বিতীয়স্থানে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ১৩।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের অবস্থা শোচনীয়। ৩৬ দলের প্রতিযোগিতার এই টুর্নামেন্টে লস ব্লাঙ্কসদের অবস্থান ২৪তম। ৫ ম্যাচে ইউরোপের চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট মাত্র ৬। জয় ২টি, হার ৩টিতে।

 

হাইভোল্টেজ ম্যাচে প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি। অচলস্থা ভাঙে ৫২ মিনিটে। গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। এতে ১-০ তে এগিয়ে যায় লিভারপুল।

৬১ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় রিয়াল। ডি-বক্সের ভেতর লিভারপুলের অ্যান্ডি রবার্টসন ফাউল করেন রিয়ালের লুকাস ভাসকেজকে। পেনাল্টি শ্যুটে লিভারপুলের গোলবারের অতন্দ্রপ্রহরী কাওইমহিন কেলেহারকে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে বের করতে পারেননি এমবাপে। ফলে লিভারপুল এগিয়েই থাকে।

৬৯ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর সালাহকে ফাউল করে হলুদকার্ড দেখেন রিয়ালের ফারল্যান্ড মেন্দি। কিন্তু স্পট-কিক গোলবারের বাইরে দিয়ে মেরে দেন সালাহ।

৭৬ মিনিটে এক হেডে রিয়ালের ম্যাচে ফেরার পথ বন্ধ করে দেন লিভারপুলের কোডি গাকপো। অ্যান্ডি রবার্টসনের ক্রস থেকে রিয়ালের জাল খুঁজে নেন ডাচ ফরোয়ার্ড। কিছুই করার ছিল না রিয়ালের গোলরক্ষক থুবো কর্তোয়ার। ফলে রিয়ালকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ১৫ বছরের আক্ষেপ মেটায় লিভারপুল।