ডেনমার্ক, ব্রিটেন, ভারত, সুইডেনসহ আরও বেশকিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন। এটির জিনোম মিউটেশনের সঠিক প্রভাব এখনও অস্পষ্ট।

করোনার ধরনগুলোর মধ্যে ওমিক্রন বিএ.১ শনাক্ত হয়। যা করোনার অন্যান্য সব ধরনগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সংক্রামক। এবার তারই একটি উপ-ধরন বিএ.২ শনাক্ত হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে ব্রিটেনে অন্তত ৪০০ জন এতে সংক্রমিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে বিএ.২ ধরা পড়েছে।

এদিকে ওমিক্রন বিএ.২-এর প্রভাব কতটা, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, দ্রুত এর বিস্তার হচ্ছে। আর সেখান থেকেই মিলছে বিপজ্জনক ইঙ্গিত।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, প্রথম ওমিক্রন ধরনের চেয়েও বেশি সংক্রামক হতে পারে নতুনটি। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) বিএ.২-কে ‘নজরদারিধীন ধরন’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

ইউকেএইচএসএ-এর ইনসিডেন্ট ডিরেক্টর মীরা চন্দ বলেন, ভাইরাসগুলোর প্রকাশ এবং রূপান্তরিত হওয়াই স্বাভাবিক। মহামারিটি চলতে থাকলে সময়ের সঙ্গে নতুন ধরন আসতেই থাকবে। আমাদের কর্তব্য, সবগুলো ধরন নজরে রাখা। কোনটির কী প্রভাব তা জানা।

এদিকে অন্যান্য দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশেও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৮৮ জনে।

একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৮০৭ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জনে।