টেস্ট ক্রিকেট দূরে থাক, স্বীকৃত ক্রিকেটেই তাসকিন আহমেদের এর আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৮ রানের। এদিন পেয়ে গেলেন প্রথম ফিফটি, প্রথম সেঞ্চুরিটার পথেও এগিয়ে গিয়েছিলেন অনেক দূর। অবশ্য ৭৫ রান করে থামতে হয়েছে তাঁকে। মিলটন শুম্বার বলে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তবে এর আগে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়েছেন ১৯১ রানের জুটি। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ৪৬৮ রানে। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ১৫০ রানে।

মাত্র ৪ রানের জন্য ৯ম উইকেট জুটির বিশ্ব রেকর্ড ছোঁয়া হলো না তাই। ১৯৯৮ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্স গড়েছিলেন ১৯৫ রানের জুটি। দুজন পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়েছিলেন সে জুটি।

বিশ্ব রেকর্ড না ভাঙলেও বাংলাদেশের রেকর্ড ভেঙেছেন মাহমুদউল্লাহ-তাসকিন। তাঁদের এ জুটিই এখন বাংলাদেশের হয়ে ৯ম উইকেটে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের রেকর্ড জুটিটি ছিল ১৮৪ রানের। আবুল হাসানের সঙ্গে সে জুটিতে একপাশে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে আরেকটি প্রথম কীর্তি হয়েছে মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনের। ৬ষ্ঠ উইকেটের পর এক ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি জুটি এবারই প্রথম পেল বাংলাদেশ। তাসকিনের আগে লিটন দাসের সঙ্গে ৭ম উইকেট জুটিতে ১৩৮ রান যোগ করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ইতিহাসে এর আগে শেষ চার জুটিতে দুটি সেঞ্চুরি জুটি ছিল মোটে ১০টি।

৯ নম্বরে নেমে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরও গড়েছেন তাসকিন। এর আগে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাপস বৈশ্য করেছিলেন ৬৬ রান। ৯ নম্বরে নেমে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর আবুল হাসানের, খুলনায় ২০১২ সালে তিনি করেছিলেন ১১৩ রান। এ পজিশনে আবুল হাসান ছাড়া সেঞ্চুরি আছে আর মাত্র তিনজনের—ইংল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড, অস্ট্রেলিয়ার রেজি ডাফ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিমকক্সের।

তাসকিন অবশ্য একটা জায়গায় ঠিকই ছাড়িয়ে গেছেন আবুল হাসানকে। ৯ নম্বরে নেমে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেলেছেন তিনি। তাসকিন এদিন খেলেছেন ১৩৪ বল, আবুল হাসান তাঁর সেঞ্চুরি ইনিংসে খেলেছিলেন ১২৩ বল।