ক্যাচ ছাড়ার ট্রেন্ড বাংলাদেশের নতুন নয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেই ক্যাচ পড়েছে ৩টি। তাতে জীবন পেয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন হজরতউল্লাহ জাজাই ও উসমান গনি। দুজনেই ১১৬ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন।
প্রথম ওভারে নিজের বলে জাজাইয়ের ক্যাচ ছেড়েছেন নাসুম আহমেদ। তখন এই ব্যাটার রানের খাতাই খুলেননি। এর পর উসমান গনিকে দুবার জীবন দিয়েছেন নাঈম শেখ ও আফিফ। অথচ এত অল্প পুঁজির পরেও এই ক্যাচগুলো নিতে পারলে দৃশ্যপট পরিবর্তন হলেও হতে পারতো! কিন্তু ক্যাচ মিসের ঘটনা হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে তা অবিশ্বাস্য-ই ঠেকছে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাই বলেই ফেললেন, ‘৫ ম্যাচে ৯ ক্যাচ ছেড়েছি, এটা অবিশ্বাস্য।’ তার পরেও শিষ্যদের পাশে থাকছেন প্রোটিয়া কোচ, ‘যখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যায় তখন একজন ক্রিকটারের পাশে থাকা কোচ-ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব।’
তবে এই ক্যাচ মিসের কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা নেই তার কাছে, ‘সবশেষ ৫ ম্যাচে ৯টা ক্যাচ ছুটেছে হাত থেকে। এগুলো মনোযোগের ঘাটতি, আত্মবিশ্বাসের অভাব নাকি চাপের জন্য হচ্ছে। এ নিয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, এখানে উন্নতি করছি। ফিল্ডিংয়ে অনেক ভুল করছি, যার মাশুল দিতে হচ্ছে। বিশ্বকাপে আমরা এর মাশুল দিয়েছি, এখানে দিচ্ছি, টেস্ট ক্রিকেটে দিয়েছি। অনুশীলনে অসংখ্য ক্যাচ ধরা যায়, সেখানে ড্রিলগুলো করা যায় কিন্তু দিনশেষে ছেলেদের ক্যাচগুলো ধরতে হবে।’
ওয়ানডে সিরিজের মতো এই সিরিজেও আলাদা লক্ষ্য ছিল সাকিব-মুশফিকদের। ডমিঙ্গো জানালেন, তারা জিততে চেয়েছিলেন দুটি টি-টোয়েন্টি-ই, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি দুটি জিততে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ ম্যাচের খেলায় খুব হতাশ। গত ম্যাচে অনেক ইতিবাচক ব্যাপার ছিল।এই ম্যাচেও খুব বেশি কিছু নেই। হতাশাজনক পারফরম্যান্স।’
শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটে ১১৫ রানের পর কোচ স্বীকার করছেন ব্যাটিং নিয়ে এখনও দুর্ভাবনা রয়েই গেছে। যে বিষয়টা পুরো সিরিজেই মাথা ব্যথার কারণ ছিল, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহজ উইকেট ছিল না। গত ম্যাচের উইকেটটা বেশ ভালো ছিল। এটা ১১৫ রানের উইকেট নয়, আবার ১৬০ রানেরও নয়। আমার ধারণা ১৩৫ রান হলে ম্যাচে থাকতাম। এক সময়ে আমাদের রান ছিল ৪ উইকেটে ৯৯। সেখান থেকে ১৩৫ রান পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব ছিল। ব্যাটিংয়ের কিছু জায়গা নিয়ে দুর্ভাবনা আছে, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’
পুরো সিরিজে ব্যর্থ ছিলেন ওপেনার নাঈম শেখ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আউট হয়েছেন মাত্র ২ রানে। পরের ম্যাচে করেছেন ১৩। এই অবস্থায় নাঈমকে নিয়ে একটা গুঞ্জন উঠলেও হেড কোচ সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘নাঈমকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে সে আমাদের সর্বোচ্চ র্যাংকধারী ব্যাটসম্যান। দলে থাকাটা তার প্রাপ্য।’