অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়ায় ফাঁক থাকলে, নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে, সে নির্বাচন প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। সে নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে।’

আর নির্বাচন কমিশন সব দলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং সেই লক্ষ্যে নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান সিইসি। তবে সবগুলো বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিছু দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান। আমাদের নির্বাচন করতেই হবে। ’

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। রাজনৈতিক দলে নিজেদের মধ্যে যদি কোনো বোঝাপড়া থাকে, সেটি সমাধান করেন আলোচনার মাধ্যেমে। আমরা চাই সবার সহযোগিতায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করা। ’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী প্রমুখ।