অক্টোবরের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মতিঝিলে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল ও ন্যুনতম মজুরিসহ সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই লড়াইয়ে সবাইকে থাকতে হবে। এই দানব সরকারকে পরাজিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে ভাতে মারছে, পেটে মারছে। তারা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। অপরদিকে মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভয়েস অব আমেরিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে মিথ্যাচার করেছেন সরকার প্রধান। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সুচিকিৎসা থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ আজ লুটেরা ও দানবের কবলে পড়েছে। পরপর দুটি নির্বাচনে চুরি করে ডাকাতি করে তারা ক্ষমতা দখল করেছে।
 
তিনি বলেন, ‌‘দাবি একটাই সরকারকে পদত্যাগ করে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।’
 
এ সময় অক্টোবরের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সরকারের পতনের আন্দোলনে। এই লড়াইয়ে সবাইকে থাকতে হবে। সরকারকে পরাজিত করা হবে লড়াইয়ের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

কনভেনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।