গত অক্টোবর মাসে দেশে ৪৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৪১ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১১২৮ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৫৭ জন। এর সঙ্গে ৬৩ শিশুও রয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে নিহত হন ১৩ দশমিক ৯ জন। অক্টোবর মাসে নিহত হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ জন। এই হিসেবে অক্টোবর মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) গণমাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৩.৯ জন নিহত হলেও অক্টোবরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৭ জনে। পরিসংখ্যান বলছে, মোট নিহতের ৩১ দশমিক ৬ শতাংশই ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী। অক্টোবর মাসে ১৯২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন।
এ ছাড়া, এই সময়ে ৯৮ জন পথচারী দুর্ঘটনায় নিহত হন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারীদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৬২ জন, যা মোট নিহতের ১৪.৫ শতাংশ।
সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি অক্টোবর মাসে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং চারজন নিখোঁজ হয়েছেন। এ ছাড়া, ৪৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, সংঘটিত দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৮১টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৮৭টি শহরের সড়কে ঘটেছে।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২১টি দুর্ঘটনায় ১১২ জন নিহত হয়েছেন, অন্যদিকে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৬টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
ফাউন্ডেশন মনে করছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারানো। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
এ ছাড়াও, যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।












