হাইকোর্টের আদেশে অনলাইন থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ মঙ্গলবার (২৯শে আগস্ট) বিটিআরসির আইনজীবী খোন্দকার রেজা ই রাকিব বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছেন।

খন্দকার রেজা ই রাকিব জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর অনলাইন থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে তারেক রহমানের সব বক্তব্য অনলাইন থেকে অপসারণ সম্ভব হবে।

এর আগে সোমবার (২৮ আগস্ট) তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

ওই দিন সকালে পলাতক উল্লেখ করে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য ফেসবুক, ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। একইসঙ্গে তার বক্তব্য প্রচার বন্ধ করতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।

আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম এবং অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ আবেদন করেন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির এ নেতার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদন করা হয়।

আইনের চোখে পলাতক থাকায় ২০১৫ সালে তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের আদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।

তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রায়ই তার বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা।