বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শপথ নেবে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা এই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। দেশটি আশা করছে, নতুন এই সরকার বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (৭ আগস্ট) বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে চলমান ঘটনাবলীর দিকে নজর রাখছি এবং দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে লক্ষ্য করেছি।’

বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান ঘটনাবলী নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

এদিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্তে গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা উচিত। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিতে সম্মত হয়েছেন। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নোবেল বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার এবং ‘আমাদের নতুন বিজয়ের’ সর্বোত্তম ব্যবহার করতে ‘সকল প্রকার সহিংসতা থেকে বিরত থাকার’ আন্তরিক আবেদন জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বুধবার ঘোষণা করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শপথ নেবে। উপদেষ্টা পরিষদে ১৫ সদস্য থাকতে পারে।