প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার টানা ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও যেকোন দুঃসময়ে প্রবাসীরা পাশে থাকেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়েও প্রবাসীরা ঝুঁকি নিয়ে পাশে ছিলেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই সমর্থন-সহযোগিতা সাহস যুগিয়েছিলো।

নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে প্রবাসীদের অবদান রয়েছে। এজন্য প্রবাসীদের জন্য ব্যাংকসহ নানাবিধ সুবিধার ব্যবস্থা করছে সরকার।

দেশে হত্যা, গুম, খুন শুরু করেছিলো জিয়াউর রহমান। দেশে সব ধরনের অপকর্মের শুরুটাও সে করে দিয়ে গেছে।

যুদ্ধাপরাধীরা দেশের জন্য অভিশাপ ছিলো। এই অভিশাপ দূর করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের মানুষ বিএনপির আহবানে সাড়া দেয়নি, দেবে না, দিতে পারে না।

দেশের মানুষ ভালো আছে। দেশে কোন মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। প্রতিটি জেলায় জেলায় খোঁজ নেয়া হচ্ছে। কেউ বাদ পড়লে খুঁজে বের করে সব গৃহহীন মানুষকে ঘর দেয়া হবে। খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষার মতো মৌলিক সব সুবিধা পাচ্ছে মানুষ।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম যেনো সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেই পরিকল্পনার একটি কাঠামোও সরকার দিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে তা পরিবর্তন হলেও শুরুটা এই সরকারই করে দিয়ে যাচ্ছে।

সরকার চায় দেশের অগ্রযাত্রা যাতে কোনভাবেই ব্যাহত না হয়। এজন্যে সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। প্রবাসীদের যত সমস্যা আছে, একে একে সমাধান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বারবার আঘাত এসেছে, তবুও আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছে। যতদিন বেঁচে আছি, দেশের জন্য কাজ করে যাবো। মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।

আজকে যে সম্মান বাংলাদেশ পাচ্ছে সারাবিশ্বে, তা যেনো অক্ষুন্ন থাকে। এজন্যে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে অপপ্রচারকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। যেকোন অপপ্রচার রুঁখে দেয়ার পাশাপাশি ওই অপপ্রচারকারীদের আসল চরিত্রও তুলে ধরতে বলেছেন।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার শঙ্কা আগামী ২০২৩ সাল হবে সবচেয়ে ভয়াবহ, এমনকি দুর্ভিক্ষও দেখা দিতে পারে। তাই দেশবাসী ও প্রবাসীদের মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি সঞ্চয় করতে হবে।