জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। আজ রবিবার (১৭ই মার্চ) এ কথা জানানো হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, হয়রানির ফলেই মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো অবন্তিকা। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় দুই আসামির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত রাতে আটক হওয়া দুই অভিযুক্তকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সকালে কুমিল্লা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক হয়েছিলো শনিবার (১৬ই মার্চ) রাতে। অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় কুমিল্লার কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকেই এই দুইজনকে নজরদারিতে রেখে পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামের বিচারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে বাড়িতে আত্মহত্যা করেন ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। তিনি আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সহপাঠিরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন অবন্তিকা। একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সহকারী প্রক্টর ও আম্মান সিদ্দিকী নামে এক সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা।