পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২শে সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে দেওয়া প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের বয়স আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তার অনুকূলে ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ল্যাম্পগ্রান্টসহ আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ বছরের অবসর ও অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসরোত্তর ছুটিকালীন সুবিধা পাবেন।

২০২০ সালের এপ্রিলে পুলিশপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. বেনজীর আহমেদ। আইজিপি হওয়ার আগে তিনি র্যাব মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

২০২০ সালের ১৫ই এপ্রিল দায়িত্ব পাওয়ার পরই ড. বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতা দূর করতে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনেন। পুলিশের পদোন্নতি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রহণের মতো সিদ্ধান্ত নেন। হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং চালু করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের জন্য ট্যাকটিক্যাল বেল্ট চালু করেন। নারীদের সাইবার বুলিংয়ের মতো নির্যাতন বন্ধে ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামে ফেসবুক পেজ খুলে সেবার প্রবর্তন করেন।

আইজিপি হিসেবে বেনজীর আহমেদের উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে- টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নতুন ইউনিট চালু, ভাসানচরে নতুন পুলিশ স্টেশন নির্মাণ, করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চমানের চিকিৎসাসেবা দিতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকায়ন এবং ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থেকে তা এক হাজার শয্যায় উন্নীতকরণ।

২০১৮ সালে র্যাবের মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানে প্রশংসিত হন ড. বেনজীর আহমেদ। গুলশান হামলা, শাপলা চত্বর ঘেরাওয়ের মতো সংবেদনশীল মুহূর্তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সরকারের ‘গুড বুকে’ নাম লেখান তিনি।