অবিলম্বে দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬শে মে) সাংবাদিকের এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ও ক্লিনিক ডা. বেলাল হোসেন।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি, সেগুলো অবৈধ।

অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে অনুমোদিত ও আবেদনকৃত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকালের সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। এতে বলা হয়,

১. আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহ বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহের বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সমন্বয় করতে হবে।

২. যে সকল প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন কিন্তু নবায়ন করেননি তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে সে সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

৩. বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে অপারেশন করার সময় এনেস্থিসিয়া প্রদান ও ওটি এসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সে সকল প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. যে সকল প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছেন তাদের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে এ সকল প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।