অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে স্বাগতিক ভারত। রোববার চেন্নাইয়ের চিদম্বরাম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাটে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত।
রোববার (৮ অক্টোবর) প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদ্বীপ যাদবের ঘূর্ণিতে ৪৯.৩ ওভারে মাত্র ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। এছাড়া ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৪১ ও মিচেল স্টার্ক ২৮ রান করেন।
জবাবে ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। তবে বিরাট কোহলির ৮৫ ও লোকেশ রাহুলের অপরাজিত ৯৭ রানে ভর করে ৫২ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত দলটির জন্য বুমেরাং হয়ে আসে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ওপেনার মিচেল মার্শের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় পেসার জসপ্রিত বুমরাহর বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে রানের খাতাও খুলতে পারেননি মার্শ। এরপর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ মিলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। ব্যক্তিগত ১৬ রানে একটি রেকর্ডও ভাঙেন ওয়ার্নার।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম ১ হাজার রানের কীর্তি এখন ওয়ার্নারের দখলে। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে ১৯ ম্যাচ লেগেছে তার। এর আগে সমান ২০টি করে ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক পেরিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে কীর্তি গড়ার ম্যাচে বেশিদূর যেতে পারেননি ওয়ার্নার। ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৪১ রানে। ফিফটির দেখা পাননি স্মিথও। ৭১ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে ভারতীয় স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন অজি টপ অর্ডার ব্যাটার।
স্মিথ ও ওয়ার্নারের বিদায়ের পর কার্যত ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন মার্নাস লাবুশেন। এছাড়া ১৫ রান করে করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ৪৯.৩ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
বল হাতে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার জাদেজা। ১০ ওভারে ২৮ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া ২টি করে উইকেট গেছে কুলদিপ যাদব ও বুমরাহর ঝুলিতে। ১টি উইকেট পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
জবাবে ব্যাটে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। দলীয় ২ রানের মাথায় তারা হারায় রোহিত শর্মা, ইশান কিষাণ আর শ্রেয়াস আইয়ারকে। এরপর কোহলি ও রাহুল জুটি বেঁধে শুরুর অশনি সংকেত দূর করে দেন। দুজনেই করেন হাফ সেঞ্চুরি। ৭৫ বলে কোহলি ফিফটি করেন, পঞ্চাশ করতে ৭২ বল খেলেছেন রাহুল। কিন্তু জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়ে কোহলিকে থামতে হয় ৮৫ রানে।
কোহলি ফিরলেও রাহুল জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ১১৫ বলে এই ব্যাটার করেন ৯৭ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।