চলতি মাসের শুরুতে ইরানি কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল তেহরান।
এবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ওয়েবসাইটে দেখা গেল, ট্রাম্পকে হত্যার থ্রিডি অ্যানিমেটেড ভিডিও।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন জেনারেল সোলাইমানি। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন তিনি।
তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। ট্রাম্প প্রকাশ্যেই তা স্বীকার করেন।
ইরান এই ঘটনার বিচার না হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
আল-আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সোলাইমানি হত্যার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে এক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। ভিডিওটি খামেনির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এই ভিডিওতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার জন্য একটি রোবট ড্রোন ব্যবহার করছে।
ওয়েবসাইটে ভিডিওটি গত বুধবার পোস্ট করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ফ্লোরিডার মার-এ লাগো মাঠে ডোনাল্ড ট্রাম্প গলফ খেলছেন। সেখানেই ড্রোনের মাধ্যমে তাকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ভিডিওটি অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারী শেয়ার করেছেন।
Officials in #Iran have released a 3D animated video depicting the targeting of former President Donald Trump at his Mar-A-Lago golf course. This sequence is in revenge for killing IRGC General Qasem Soleimani. pic.twitter.com/2h1giUrlFx
— Jake Hanrahan (@Jake_Hanrahan) January 13, 2022
এর আগে গত বছর একটি প্রোপাগান্ডমূলক পোস্টারে গলফ মাঠে ট্রাম্পকে হত্যা করা হচ্ছে এমন দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিল।
চলতি মাসের শুরুতে কাসেম সোলাইমানির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি অঙ্গীকার করেন, আগ্রাসনকারী ও মূল হত্যাকারী যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ অন্যান্য অপরাধীদের অবশ্যই বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ‘অন্যথায়, আমি সব মার্কিন নেতাদের বলব যে নিঃসন্দেহে মুসলিম জাতির হাতা থেকে প্রতিশোধের হাত বেরিয়ে আসবে।’
সোলাইমানিকে হত্যার পরপরই ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনাদের অবস্থান লক্ষ করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এতে কেউ নিহত হননি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সেনা ট্রমায় আক্রান্ত হন।