সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০২৩-২৪) নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের প্যানেল (সাদা প্যানেল)। সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১৪টি পদের সবকটিতে জয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাথে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

সভাপতি হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক পদে আবদুন নূর দুলালকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী আজমান এবং জেসমিন সুলতানা। ট্রেজারার মাসুদ আলম চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারি পদে এ বি এম নূর এ আলম উজ্জ্বল এবং মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ নির্বাচিত হয়েছে।

এছাড়া, সদস্য পদে মহিউদ্দিন আহমেদ রুদ্র, মনিরুজ্জামান রানা, শাফায়েত হোসেন সজীব, শফিক রায়হান শাওন, দেলোয়ার হোসাইন, মো. নাজমুল হুদা এবং সুবাস চন্দ্র দাস নির্বাচিত হয়েছে।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪ পদের প্রত্যেকটিতে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে সরকার সমর্থিত সাদা প্যানেলের আইনজীবী প্রার্থীরা।

হট্টগোল আর ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে সমিতির এবারের নির্বাচনে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ হয়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শেষে রাত দেড়টার পর সমিতির দক্ষিণ হলে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে ‘পুলিশের ওপর হামলা’ ও ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করে। এতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের মারধরের শিকার হন অন্তত ১০ সাংবাদিক। পুলিশ তাদেরকে লাথি দিয়েছে ও লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় কয়েক সাংবাদিকের মুঠোফোনও কেড়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। তবে পুলিশের করা মামলায় সাংবাদিকদের মারধর করার কোনো তথ্য নেই।