ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। যদি কেউ অপতৎরতা চালানোর চেষ্টা করেন, সেটি শক্ত হাতে মোকাবেলা করা হবে।
সোমবার সকালে রাজধানীর লালবাগে হোসাইনি দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালত যে আদেশ দেবেন তার প্রতি শ্রদ্ধা থাকা এবং তা মেনে নেওয়া প্রতিটি নাগরিকের একান্ত কর্তব্য। আদালতের নিয়ম মানতে আমরা বাধ্য। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে তৎপরতা কেউ চালালে সেটি যেই হোক সেটি শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচার, তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
তিনি বলেন, রাজধানীতে যেসব ইমামবাড়া রয়েছে সে সমস্ত জায়গায় পুলিশের ডগ স্কোয়াট চেকিং সুইপিং সবকিছু এরই মধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। এখানে (ইমামবাড়ায়) যারা প্রবেশ করবেন, তাদের অবশ্যই আর্চয়ে গেটে তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। ইমামবাড়ার সন্নিকটে যেসব উঁচু ভবন রয়েছে সেসব ভবন থেকে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করবে। ইমামবাড়াসহ পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইমামবাড়ার আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়া থেকে মিছিল বের হয়ে যে স্থানে যাবে, এবং সে রাস্তায় দিয়ে যাবে সবখানে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
কেউ বা কোনো গোষ্ঠী গুজব বা অপপ্রচার করতে না পারে সেজন্য সাইবার স্পেসেও মনিটরিং করা হবে-যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইমামবাড়ার ভেতরে যাতে কেউ ছুরি-চাকু দিয়াশলাই বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষকেও আমরা নজরদারির জন্য অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে পুলিশও এ বিষয়টি নজরদারি করবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের যেহেতু পতাকা নেওয়ার একটি প্রচলন রয়েছে সেজন্য পতাকা যাতে খুব বেশি উঁচু না হয় বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে যেন স্পর্শ না করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।
ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে তাজিয়া মিছিলের সব নিরাপত্তা প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করছি আগামী তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় এ অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।