শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন লালন-সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন। বর্তমানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ফুসফুসে পানি জমেছে। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে আজ ভোরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শিল্পীর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি একজন বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার অবস্থা কিছুটা জটিল। চিকিৎসকেরা তাকে ডায়ালাইসিসের পরামর্শ দিয়েছেন।
তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, কয়েকটি শারীরিক জটিলতা নিয়ে আমার আম্মা (কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন) ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আম্মা অনেকদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও আম্মার ফুসফুসে খানিকটা পানি জমেছে এবং কিছুটা নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ অবস্থার অনেকটাই উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে পর্যবেক্ষণরত অবস্থায় আছেন।
তিনি জানান, আমরা ছেলে-মেয়েরা সার্বক্ষণিকভাবেই তার সাথে অবস্থান করছি। সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সবাইকে অনুরোধ করছি কোন গুজব বা অপপ্রচারকে প্রশ্রয় না দিতে। সবাই দোয়া করবেন, ইনশাআল্লাহ আমরা যেন খুব দ্রুতই আম্মাকে নিয়ে বাসায় ফিরতে পারি।
ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এই শিল্পী।