গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি, পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়াসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তানি পরোয়ানা জারির আবেদন জমা পড়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)।

এই তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের (করিম খান) দপ্তর থেকে করা হয়েছে এই আবেদন। সোমবার এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, গত ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ এই ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের প্রধান কারণ এটিই।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এ নেতাদের বিরুদ্ধে তখনকার সময়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। হামাসের হামলার পর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের নেতারা। যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী বেনি গান্তজ বিষয়টিকে ন্যায়বিচারের গভীর বিকৃতি বলে আখ্যা দিয়েছেন।

হামাসের এক জৈষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগীর সঙ্গে হত্যাকারীদের মেলাতে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে চাচ্ছে।

আইসিসির একটি প্যানেল করিম খানের আবেদন পর্যালোচনা করবে। খান বলেন, সিনওয়ার, হানিয়া ও আল-মাসরির বিরুদ্ধে নিধন, হত্যা, জিম্মি, আটকে রেখে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ প্রত্যাখ্যানসহ যুদ্ধের পদ্ধতি হিসেবে নির্মূল, অনাহারে রাখা, ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘাতে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। দেশটি এ আদালতের বিচারকেও স্বীকৃতি দেয় না। তবে ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো ২০১৫ সালে  সদস্যপদ স্বীকার করে নেয়।