প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বাংলার মানুষের কথা ভেবেই দেশে এসেছি, পালাতে নয়। রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বলছে- আওয়ামী লীগ পালানোর সুযোগ পাবে না। আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে।
তিনি বলেন, ‘জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউই দেশের মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগ পালায় না, পিছু হটে না। বিএনপির নেতারাই পালায়। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে’।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত উন্নয়ন করতে পারে না। তারা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে। মানুষের সম্পদ লুটেপুটে খেতে পারে। দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে বসে আয়েশে জীবন যাপন করে, আর আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। তাদের লুটপাট, জঙ্গিবাদ আর মানুষ হত্যার কারণে দেশে ইমারজেন্সি চালু হয়। তারা সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ছাড়া আর কিছুই বোঝে না’।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। এই সংগঠন দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার কারণে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ শান্তিতে থাকে, দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা যে ওয়াদা করি সে ওয়াদা রক্ষা করি’।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের একজনও গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না, সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করছে’।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা করে দেন। এরপর সব বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ বন্ধ কারখানা চালু করতে কাজ করে। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দেই। এই রাজশাহীর মানুষের কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। এরইমধ্যে রাজশাহীর মানুষের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা’।
এসময় উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বিকেল সোয়া তিনটায় রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় মঞ্চ থেকে স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। কর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জনসভাস্থল ও আশেপাশের এলাকা। এসময় প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।