ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, বিরোধী দল, সংসদে না থাকলেও তারা বক্তব্য দেয়- আমাদের নাকি পালানোর কোনো পথ থাকবে না। আমি এমন বক্তব্যদাতাদের উদ্দেশে বলতে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে কৃষক লীগ আয়োজিত ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের পুরস্কৃত করে জিয়াউর রহমান, আর সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিল এরশাদ ও খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, ইতিহাস থেকে নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট যারা আপনজন হারিয়েছি তাদের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের  কৃষকদের  ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলত বিএনপি। তারা কৃষককে গুলি করে মেরেছে। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন না দেখে নিজেদের পকেট ভারি করেছে।

তিনি বলেন, কৃষি ও দেশের উন্নয়নের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা চার গুণ বেশি।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের মুখে বড় বড় কথা আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্য মামলা করেছে, অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। গ্রেনেড হামলা করেছে। আমরা তো প্রতিশোধ নেইনি। এক ভাগ প্রতিশোধ নিলেও তাদের হদিস পাওয়া যেত না। আমরা প্রতিশোধ নেইনি কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। জিয়াউর রহমান আমাদের আসতে বাধা দিয়েছে। শেখ রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করে দেয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮১ সালে আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসি। দেশে আসার পরে জিয়াউর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ডুকতে দেয়নি। আমি যে আমার মা-বাবা, ভাই বোনের জন্য দোয়া করব, মোনাজাত করবো সে সুযোগটাও দেয়নি। রাস্তার ওপর বসেই আমাকে আমার মা-বাবার জন্য দোয়া পড়তে হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, আমাদের আত্মপরিচয়ের সুযোগ এনে দিয়েছেন। বাঙালি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। সে পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারপরেই সেই ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সাল আমাদের জাতির জীবনে একটি কালো অধ্যায়। ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।