২০২৪ সালের শিক্ষাবর্ষের স্কুল পর্যায়ের বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই শেষ করতে চায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কাগজ সংকট এড়াতে এমন পরিকল্পনা তাদের। কাগজের মান ও উজ্জ্বলতা ঠিক করতে এ সংক্রান্ত কমিটিতে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল থাকবে।

কাগজের সংকট, ডলার সংকটসহ নানা জটিলতায় চলতি বছর পাঠ্যবই ছাপার কাজ বিঘ্নিত হয়। এতে সময়মতো বই পায়নি সব শিক্ষার্থী। শেষ মুহূর্তে এনসিটিবি’র আগের বছরের পুরনো বই প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয়েছে নতুন বই। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাগজের মান ও উজ্জ্বলতার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে এনসিটিবি।

মানহীন কাগজে বই ছেপে তোপের মুখে প্রকাশকরাও। তারা বলছেন, কয়েকমাস আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিলো এনসিটিবিকে। তখনই নিউজপ্রিন্টে বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিলে নির্ধারিত সময়েই শিক্ষার্থীরা বই পেতো। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে বলেন তারা।

এদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি বছর কাগজের চাহিদা বেড়ে যাবে তাই আগামী অক্টোবরেই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা এনসিটিবি’র। নিউজপ্রিন্ট কিংবা সাদা কাগজের উজ্জ্বলতার পার্থক্যে কোমলমতি শিশুদের চোখে কী ধরনের প্রভাব তা জানতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবে এনসিটিবি।

আাগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ নির্বিঘ্ন করতে টেন্ডার থেকে শুরু করে সব কাজনির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু করা হবে বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।