আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে মাগুরা-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসানসহ দলটির তিন প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠি জারি করা হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাকিবকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথিমধ্যে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন। নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। যা বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮ (ক), ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন। ওই আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা অনুসন্ধান কমিটির দফতরে আগামী ১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সময় সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
ন্যদিকে, বিধি ভঙ্গের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা-১৯ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. এনামুর রহমানকে এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীরকেও শোকজ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি ১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় তাদেরকে জবাব দিতে বলেছে।
এদিকে, মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসায় সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজের বিরুদ্ধে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। গতকালের সংবর্ধনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাকিব নিজের জন্য এবং আওয়ামী লীগের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন।