বিশ্বে দিন দিন বেড়েই চলছে বায়ুদূষণের মাত্রা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণও। শনিবারও (৩ ফেব্রুয়ারি) শহরটির বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থাতে রয়েছে।

আইকিউএয়ারের বায়ুমান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) সকাল ৯টায় ঢাকার স্কোর ২৩৫। এ স্কোরকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় এ সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়। স্কোর ১৮৪। এ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তালিকায় এরপরেই রয়েছে এশিয়ার আরেক দেশ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন। সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাশের দেশ ভারতের কলকাতা শহর। তারপর পাকিস্তানের করাচি শহর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে ধরে নেওয়া হয়।

এ নিয়ে একাধিকবার দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে শহরটি। বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হলেও শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এই শহর।

তবে এর জন্য তিনটি প্রধান উৎস- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ কাজের ধুলোকে দায়ী করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংক। ২০১৯ সালের মার্চ মাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে প্রতিষ্ঠান দুটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

ক্রমবর্ধমান এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম দূষিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জনপ্রতি পাঁচ বছরেরও বেশি আয়ু কমতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।