আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন-কপ টুয়েন্টি নাইন। চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য জলবায়ু সংকটের ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অর্থসহায়তা দেয়ার পথ খুঁজে বের করা।

জলবায়ু সংকট সমাধানে উৎসাহ দিতে কপের শুরুতে সাধারণত সদস্যদেশগুলোর প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীরা যোগ দেন। তবে এবার কয়েকটি বড় অর্থনীতি এবং সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন না। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কপের ২৯তম আসরে অংশ নিতে প্রায় ২০০ দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্র হবেন। এবারের আসরের আলোচনার মূল বিষয় হলো অর্থ। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির আওতায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২০৩০ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এ লক্ষ্যে কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সামলাতে ২০২৫ সাল নাগাদ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থসহায়তা দিতে রাজি হয়েছিল বড় অর্থনীতির দেশগুলো। তবে এখন পর্যন্ত সেই সহায়তার পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। আর উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় থাকা বিপুল পরিমাণ কার্বন নিঃসরণকারী চীন ও উপসাগরীয় দেশগুলো এই সহায়তা তহবিলে অর্থ দিচ্ছে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর জলবায়ু নিয়ে নানা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ২০শে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন। পরিবেশবান্ধব জ্বালানিকে তিনি বরাবরই একটি ‘প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করেছেন। প্যারিস চুক্তি থেকেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিতে চান। ফলে জলবায়ু সহায়তা তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।