প্রায় ৬ বছর পর আজ খুলনা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খুলনা অঞ্চলের ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পরে সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন সরকার প্রধান।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে খুলনাজুড়ে এখন সাজ সাজ রব। এ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উন্নয়নের বিল বোর্ড দিয়ে সাজানো হয়েছে। খুলনা পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে গোটা খুলনা মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউজ ও সার্কিট হাউজ ময়দানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সর্বদা নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

২২টি প্রকল্প উদ্বোধন
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো তালিকায় মোট ২২টি উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্প আছে।

এর মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের আটটি; স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১০টি, সুন্দরবন পর্যটন উন্নয়নে একটি, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের একটি এবং সিটি করপোরেশন ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি করে প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুলনায় স্বাগত জানানোর পাশাপাশি খুলনায় বিমানবন্দর প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত কাজ শুরু করাসহ ১৮ দফা দাবি উত্থাপন করেছে।

দাবিগুলো হচ্ছে—খুলনা বিমানবন্দর প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত কাজ শুরু করা, খুলনা-মোংলা-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা, রূপসা-তেরখাদা ও দীঘলিয়াকে খুলনা শহরের সঙ্গে সংযোগের জন্য টানেল নির্মাণ করা, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ড্রেজিংব্যবস্থা অব্যাহত রাখা, খুলনায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা, খুলনা-যশোর মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করা, খুলনায় অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন, স্বতন্ত্র ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন, আমদানি-রপ্তানির সুবিধার্থে মোংলা পোর্টের অদূরে কনটেইনার স্টেশন স্থাপন, খুলনার পাটকলসহ বন্ধ সব মিল-কলকারখানা চালুর ব্যবস্থা করা, সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা; ভৈরব, রূপসা ও পশুর নদের নাব্যতা বাড়াতে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা, খুলনায় পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র চালু করা, সরকারি উদ্যোগে খুলনায় বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং একটি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা, খুলনা প্রেস ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা, খুলনায় মেরিন একাডেমি ও ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা, খুলনা আলিয়া মাদরাসা ও মহিলা আলিয়া মাদরাসাসহ আহসান উল্লাহ কলেজ, হাজি আব্দুল মালেক কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজ সরকারি করা, খুলনা-যশোর-দর্শনা ডাবল রেললাইন স্থাপন করা, খুলনা থেকে রেলযোগে ঢাকা যাওয়ার জন্য খুলনা-গোপালগঞ্জ রেললাইন স্থাপন করা, মুন্সীগঞ্জ-সাতক্ষীরা-যশোর রেললাইন স্থাপন এবং খুলনা-কালনা-ঢাকা সরাসরি রেল যোগাযোগব্যবস্থা চালু করা, শহর রক্ষা বাঁধ ও রিভারভিউ পার্ক স্থাপন করা এবং খুলনায় নভো থিয়েটার দ্রুত বাস্তবায়ন ও ডায়াবেটিক হাসপাতালে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা।