দেশে ডলার সংকটের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। গত মাসে আগের ১৪ মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আর এই মাসের প্রথম আট দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৪৭ মিলিয়ন ডলার। গড়ে প্রতিদিন এসেছে প্রায় ৮ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন আরও পদক্ষেপ নেয়া যেতে পরে। বৈধ পথে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের আগ্রহ যাতে বাড়ে সেই দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
করোনা অতিমারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সমস্যা থেকে উত্তরণে বেশকিছু উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। দেশে আমদানি ব্যয় কমছে। বেড়েছে প্রবাসী আয়।
ডলার সংকটের এই সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স উলেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত মাসে আগের ১৪ মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীরা ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। চলতি মাসের প্রথম আট দিনে এসেছে ৬৪৭ মিলিয়ন ডলার। যা দেশের অর্থনীতিতে আশার সঞ্চার করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের আগ্রহ বাড়ছে। এটি দেশের জন্য ভালো খবর।
তবে দেশে রেমিট্যান্স আসার পর দেশে ডলারকে ঘিরে কোন সিন্ডিকেট যেন তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে নজরদারি রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরামর্শ দিলেন অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২১.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বা ৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার কম।