নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নারী ভোটারদের চেয়ে পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি বেশি রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারী ভোটারের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ভোটারদের দাবি, এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন ইন্সপেক্টরসহ ৩১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে। এ ছাড়া দুই প্লাটুন বিজিবি ও দুই প্লাটুন র‌্যাব রয়েছে। পৌরসভার মোট ভোটারের সংখ্যা ২৬ হাজার ৫২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ২৯৮ ও মহিলা ভোটার ১৩ হাজার ২২৭ জন।

মেয়রপ্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সুন্দর আলী, জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান, নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহর আলী মোল্লা ও মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন উর রশীদ।

সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী লোকমান হোসেন ও মমিনুল ইসলাম। ২ নম্বর ওয়ার্ডে পলাশ চন্দ্র সূত্রধর, অহিজদ্দীন ভুয়া ও লিটন সাহা গুরুদাস। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আলম মিয়া, ওমর আলী, নজরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক ও রাশেদুজ্জামান। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনির হোসেন, মনির হোসেন, উদয় চন্দ্র বিশ্বাস, মোতালিব মিয়া ও জামাল উদ্দিন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আল আমিন, ছোয়াদ আলী, মারুফ হোসেন মিলন, জাহাঙ্গীর হোসেন, জোবায়ের হোসেন ও সদর আলী ভূঁইয়া। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জানে আলম, জাহাঙ্গীর আলম, বশিরউল্লাহ ও সাইদুল ইসলাম সোহেল। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আহসান ভুয়া ও হাতেম আলী। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আকবর হোসেন, আসাদ মিয়া, কামরুল হাছান, জহিরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর ও সুমন মিয়া। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, সাদেকুর রহমান ও হারুন অর রশীদ।

সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন, পারুল আক্তার, রাশিদা আক্তার ও রোকেয়া বেগম। ২ নম্বর ওয়ার্ডে খাদিজা আক্তার শিল্পী, মমতা রানী দাস ও রিনা বেগম। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইয়াছমিন আক্তার, মনোয়ারা বেগম, রোকেয়া বেগম ও শামসুন নাহার।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, সোমবার সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন ইন্সপেক্টরসহ ৩১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে। এ ছাড়া দুই প্লাটুন বিজিবি ও দুই প্লাটুন র‌্যাব রয়েছে।