আত্মবিশ্বাস থাকলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করতেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মামলা নিয়ে আমি আলোচনা করি না, কেননা এটা সাব জুডিস। যেখানে এটা সাব জুডিস হিসেবে নিজের দেশেই গণ্য করা হয়। সেখানে বাহির থেকে বিবৃতি এনে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বলা, আমি কে মামলা প্রত্যাহার করার?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনো বিবৃতিতে প্রভাবিত হবে না। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা আইন অনুযায়ী চলবে।

বিবৃতিদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল-দস্তাবেজ, কাজগপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কি না। সবকিছুই আইন মতো চলে।

কেউ যদি ট্যাক্স (কর) না দেয় আর যদি শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করে, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যদি মামলা করা হয়। আমাদের কী সেই হাত আছে যে মামলা বন্ধ করে দেব? প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।

নোবেলজয়ী বলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীতে এমন বহু নোবেল বিজয়ী আছেন, পরবর্তী সময়ে তাদের কাজের জন্য কারাগারে আছেন (যেতে হয়েছে)। আদালত স্বাধীনভাবে চলবে। ভয় পেলে চলবে না। শ্রমিকদের পাওনা তাদের দিতে হবে।

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান শেষে গত রোববার (২৭ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে ঢাকায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ তার সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২২ আগস্ট রাতে জোহানেসবার্গে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ আফ্রিকা আয়োজিত ১৫তম ঐতিহাসিক ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা যোগদান করে। এ বছর ছয়টি নতুন দেশকে সদস্য হিসেবে নিয়েছে ব্রিকস। তবে বাংলাদেশ আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেয়নি সংস্থাটি।