ভারতীয় আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, আদানির বকেয়ার জন্য দায়ী বিগত সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে রেমিটেন্সের গতি বেড়েছে। ফলে এখন রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছে সরকার। ভারতের আদানির বকেয়া বিল দেয়ার গতি বেড়েছে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আদানির পুরো তথ্য এখনো এনার্জি মিনিস্ট্রিতে আসেনি। এটা যদি সত্য হয় তাহলে আমরা খুব শকড। আমরা আদানির পেমেন্ট যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, তার যে ব্যাকলগ হয়েছে সেটার জন্য মূলত দায়ী আগের স্বৈরাচারী সরকার। তারা বিশাল অংকের বকেয়া রেখে গেছে। সে কারণে এটা বেড়ে গিয়েছিল। আমরা গত মাসে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি, যেটা তার আগের মাসের দ্বিগুণ।

শফিকুল আলম আরও বলেন, আমরা কারও জিম্মি হব না। কোনো একক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর কাছে জিম্মি হব না। আমাদের দিক থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যেন আরও দ্রুত পরিশোধ করা যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রিজার্ভ বাড়া শুরু হয়েছে। এটা থমকে গিয়েছিল, এটা এখন ফিরে এসেছে। এখন আমরা রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক বিলগুলো পরিশোধ করতে পারছি। এখন আদানির বকেয়া আছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার। আমরা এটা দ্রুত পরিশোধ করার আশা রাখি। আমরা এটা পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টাকা পাচারের এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। কত টাকা পাচার হয়েছে তা বের করতে উচ্চপর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।