আজ মঙ্গলবার (৯ই আগস্ট) আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার না করার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
বিশ্বের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা এবং তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রকে সংরক্ষণ ও চর্চাকে অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত আন্তর্জাতিক বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়।
বিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও তাদের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ার জন্য জাতিসংঘ ও আদিবাসী জাতি এক নতুন অংশীদারিত্ব শিরোনামে ১৯৯৩ সালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী বর্ষ ঘোষণা করে।
আদিবাসীদের অধিকার, মানবাধিকার ও স্বাধীনতাসংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিয়ে ১৯৮২ সালের ৯ই আগস্ট জাতিসংঘের আদিবাসী জনগোষ্ঠীবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য জাতিসংঘ ১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৯ আগস্টকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবহেলিত, সুযোগবঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসমূহের সমস্যাগুলোর ওপর মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং তাদের অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা। এ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অধিকারবঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নামে।
দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবনধারা, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার ও তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি তথা আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করে তোলা।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২২ উপলক্ষে তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘এই দিনে আমরা ঐতিহ্যগত জ্ঞান সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারীর অবদান ও ভূমিকাকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরছি। আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক যৌথ চ্যালেঞ্জ সমাধানে অবদান রাখতে পারে। আমি সম্প্রতি সুরিনাম সফরে গিয়েছিলাম। এই সফরে আমি প্রথম শিখেছি, কীভাবে আদিবাসীরা রেইনফরেস্ট এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে সব সদস্য রাষ্ট্রকে জাতিসংঘ আদিবাসী অধিকার ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে তাদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান বিকাশে ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে সবাই উপকৃত হয়।