ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ৩৯ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মুনিম ফেরদৌস।

আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ প্রভাবশালীদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

র‍্যাবের মধ্যে কেউ আসামি হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আমাদের র‍্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র‍্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি। র‍্যাবে ৮টি বাহিনী থেকে সদস্য আসে। র‍্যাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ ভাগ পুলিশ বাহিনী থেকে এসেছে। আমাদের কোনো সমস্যা ছিল না। ছাত্র-জনতার ওপর র‍্যাব কখনোই মারণাস্ত্রের গুলি ব্যবহার করেনি। আমরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম। অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের পর এখন পর্যন্ত র‍্যাব এক হাজার ৭০ জনকে আটক করেছে। এরমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ৩৯ জন রয়েছেন। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের অনেককেই আটক করা হচ্ছে। এছাড়া আমরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছি। র‍্যাব যদি কোনো তথ্য পায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। র‍্যাব সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।

মুনীম ফেরদৌস বলেন, বিতর্কিতদের আটকের বিষয় আমাদের কাজ চলছে। তথ্য পেলেই আটক করা হবে।