আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াটওয়াশের হাত থেকে রক্ষা পেলো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২৬ রানের দেয়ার লক্ষ্য তাড়া করে ৭ উইকেটে জয় পায় টাইগাররা। আগের দুই ম্যাচে হারের ক্ষত ছিল। আশঙ্কা ছিল আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ারও। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে এসে করলো দারুণ বোলিং। ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে পেলো বড় জয়।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা। ৬ বলে ১ রান করা ইবরাহিম জাদরানকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। ওই ওভারেই তিনি এনে দেন দ্বিতীয় উইকেট। ৪ বল খেলে কোনো রান করার আগেই রহমত শাহ তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।

এরপর রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট নেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। ২২ বলে ৬ রান করে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ানও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। শরিফুলের আরও দুই উইকেট নিলে বেশ ভালো মতোই চাপে পড়ে তারা। মাঝে ৫৪ বলে ২২ রান করে হাশমাতুল্লাহ শাহিদীর বলে বোল্ড হন তাইজুল ইসলাম।

শাহিদী ছাড়া আর একজন ব্যাটারই আফগানাদের হয়ে রান করতে পেরেছেন। সফরকারীদের রান একশ পাড় করার বড় কৃতিত্বও তার। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৭১ বলে ৫৬ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। বাংলাদেশের হয়ে ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল। দুই উইকেট করে পান তাসকিন ও তাইজুল।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশেরও। উদ্বোধনী ব্যাটার নাঈম শেখ ৮ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি। এরপর বোল্ড হন ফজল হক ফারুকীর বলে। এরপর ১৫ বলে ১১ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তও তার বলে আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

২৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। তিনি বদলে দেন ম্যাচের গতিপথও। লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন ৬১ রানের জুটি। ৩৯ বলে ৩৯ রান করার পর মোহাম্মদ নবীর বলে ক্যাচ দেন সাকিব। জয়ে অবশ্য সেটি বাধা হয়নি। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন লিটন। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৯ বলে ২২ রান আসে হৃদয়ের ব্যাটে।