গ্রুপ ‘১’ এর বাঁচা মরার লড়াইয়ে ব্রিসবেনের গ্যাবায় মাঠে আফগানিস্তানকে হারালো শ্রীলঙ্কা। দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে দুই দল মাঠে নামে। এমন সমীকরণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে এশিয়ান সিংহরা। আর তাতে বিশ্বকাপের মঞ্চে টিকে থাকলো দাসুন শানাকার দল। অন্যদিকে এই হারে বিশ্বকাপ থেকে এক ম্যাচ আগেই ছিটকে গেল রশিদ খান-মোহাম্মদ নবির আফগানিস্তান। ৪ ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট এখন ৪। অন্যদিকে ৪ ম্যাচের মধ্যে ১টি মাত্র জয়ে ২ পয়েন্ট আফগানিস্তানের।
ব্রিসবেনে টসে জিতে এদিন আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি দলটি। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। পুরো ম্যাচের মধ্যে একমাত্র এই লঙ্কান ব্যাটসম্যানই ফিফটি হাঁকাতে পেরেছেন।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও উসমান গনির ব্যাটে ভালো শুরু পায় আফগানিস্তান। ৩৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন তারা। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে গুরবাজকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা। ২৪ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফগান ওপেনার। ২৭ রান করে বিদায় নেন উসমানও। এরপর কিছুক্ষণ ব্যাট চালিয়ে যান ইবরাহিম জাদরান। কিন্তু টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। বিদায় নেন ২২ রান করে।
চারে ব্যাট করতে নাম নজিবউল্লাহ জাদরানও থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন তিনি। শেষদিকে গুলবাদিন নাইবের ১২, মোহাম্মদ নবির ১৩ ও রশিদ খানের ৯ রানে মাঝারি সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। ৩ রানে অপরাজিত থাকেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪ ওভার বল করে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন হাসারাঙ্গা। জোড়া উইকেট পান লাহিরু কুমারা। একটি করে উইকেট নেন ধনঞ্জয়া ও রাজিথা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করে লঙ্কান ওপেনাররা। এরপর টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। দ্বিতীয় ওভারে ১০ রান করে উইকেট হারান পাথুম নিশাঙ্কা। কুশল মেন্ডিস অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ লড়ে যান। তিনি বিদায় নেন ২৭ বলে ২৫ রান করে। তিনে ব্যাট করতে নেমে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ধনঞ্জয়া। তাকে সঙ্গ দিতে এসে পরপর বিদায় নেন চারিথ আসালাঙ্কা (১৯) ও ভানুকা রাজাপক্ষে (১৮)।
তবে দলকে হারতে দেননি ধনঞ্জয়া। ৪২ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখেন তিনি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ ছক্কা ও ৬ চারে। আফগানদের হয়ে জোড়া উইকেট পান রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান।