ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যটির জিরিবাম জেলায় মেইতেই এবং কুকি বাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই হয়েছে। হামলা হয়েছে জিরিবাম জেলার একটি থানায়ও।

এছাড়া একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং বোমা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

পুলিশের দাবি, জিরিবামের জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা বরোবেকেরায় হামলা চালিয়েছে কুকি সম্প্রদায়। জবাব দেন মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের যোদ্ধারাও। সে সময় কুকিদের একাংশ থানায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে শান্তি ফেরাতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছে চলতি সপ্তাহে। তারই মধ্যে নতুন করে হিংসা ছড়াল উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্যে। গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে জিরিবাম জেলায় দু’গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছিলেন পাঁচ জন।

মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত ২০২৩ সালের তেসরা মে। সেদিন জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের মিছিল ছিল। মেইতেইদের তফশিলি জাতির মর্যাদা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নেমেছিল জনজাতি ছাত্র সংগঠনটি। সংঘাতের শুরু সেখানেই। মণিপুরের আদি বাসিন্দা মেইতেইরা হিন্দু।

অন্যদিকে, তাদের বিরুদ্ধে যারা লড়ছে, সেই কুকি,  জো-সহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী। এদের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুপক্ষের এই লড়াইয়ে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২০০ জনের বেশি। আহত হয়েছে অনেক মানুষ। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন হাজার ষাটেক মানুষ।