আবারও ‘দিল্লি চলো’ অভিযান শুরু করেছে ভারতের কৃষকরা। এবার তাদের লক্ষ্য হলো পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছানো।

তবে এবারও কৃষকদের ঠেকাতে তৎপর নিরাপত্তা বাহিনী। দিল্লি সীমান্তের টিকরি, সিংঘু, গাজিপুর ও খানৌরি সীমান্তে নজরদারি ও পাহারা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যারিকেড ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে দাঙ্গা রোধ বাহিনী। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল। নজরদারি রাখা হচ্ছে ড্রোন দিয়েও।

আন্দোলনকারী নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ট্রাক-ট্রাক্টর নিয়েই দিল্লি পৌঁছাতে হবে এমন কোন কথা নেই। ট্রেনে, বাসে অথবা হেঁটেও দিল্লিতে পৌঁছানো যাবে। পারলে কৃষকদের আটকানো হোক।

এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তির জন্য মানুষকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে পুলিশ। এছাড়া রাস্তায় অস্বাভাবিক যানজট, গুরুত্বপূর্ণ মেট্রোস্টেশনগুলো প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে ভারতীয় পুলিশ।

উল্লেখ্য, কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি বৈধতার দাবিতে ২০২০-২১ সালের পর ফেব্রুয়ারিতে আবারও আন্দোলন শুরু করে কৃষক সংগঠনগুলো। দেশের কয়েকশ’ সংগঠনের নেতাদের নিয়ে গঠিত সংযুক্ত কিসান মোর্চা (এসকেএম) এবার ১৪ই মার্চ দিল্লিতে কৃষকদের মহা পঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছে। এর আগে ১০ই মার্চ সারা দেশে চার ঘণ্টার জন্য ‘রেল রোকো’ আন্দোলন করা হবে।

২০২০-২১ সালে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এগারোবার বৈঠক করেছিল। তারপর বাধ্য হয়েছিল তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে। কিন্তু অন্য দাবিগুলো এখনো অমীমাংসিত। এবার পাঞ্জাবের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার ইতিমধ্যেই পাঁচবার আলোচনায় বসেছে। কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।