আবার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, আইনজীবী জ্যাক স্মিথ ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৫ পাতার অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও, পরাজিত প্রার্থী (ট্রাম্প) ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর তিনি মিথ্যা ছড়িয়েছিলেন যে, নির্বাচনের ফলাফলে জালিয়াতি হয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনিই জিতেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, তিনি নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার জন্য বেআইনি পথ বেছে নিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করতে ষড়যন্ত্র, অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রসহ মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আরও ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ই আগস্ট ট্রাম্পকে ওয়াশিংটনের একটি আদালতে তলব করা হয়েছে।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ নিয়ে মুখ খুলেন তিনি। ট্রাম্প লিখেছেন, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা অভিযোগ আনবেন জ্যাক স্মিথ।
কেন তারা এটা আড়াই বছর আগেই করল না? কেন তারা এত দিন অপেক্ষা করল? কারণ, নির্বাচন ঘিরে আমার প্রচারণার মধ্যে তারা এটা করতে চেয়েছিল। এদিকে এর আগে গত মার্চ ও জুনে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প।