নিত্যপণ্যের বাজারে অস্বস্তি কাটছে না। রাজধানীর বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ডিম-মুরগির দাম। দশ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির জন্য কেজিতে বেশি গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজনে বেড়েছে ১৫টাকা। মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অনেকটা ক্ষুব্ধ ও হতাশ নিম্ন আয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তরা।

প্রায় একই হারে বাড়ছে সোনালি মুরগির দামও। গতকাল প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩০০-৩১০ টাকায়।

মুরগির সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দামও। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। কিন্তু হালি কিনলে দাম নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির রেকর্ড দাম নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ কমার কারণেই দাম বাড়ছে। এর আগে কখনো ২০০ টাকার বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে হয়নি। মুরগি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পোলট্রি খাদ্য, বাচ্চা, ওষুধসহ সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।

এদিকে ভোক্তারা আশঙ্কা করছেন আসন্ন রমজানে ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বাড়বে। এতে তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ব্রয়লার মুরগিও।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১৯০-২০০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে।

ডিমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা শীতে ফার্মের ডিমের সরবরাহ কমার অজুহাত দিয়ে প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়াচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতাদের তাই বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে বলে বাড়তি ডিমের দাম। এখন খুচরায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।