আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার (৯ই আগস্ট) রাতে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, বাসায় থাকায় দেড় মাস ধরে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। তাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে থেকেই পরীক্ষাগুলো করানো হবে। বুধবার রাতেই কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এবার নতুন করে কোন জটিলতা নেই। নিয়মিত ফলোআপ করতে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের ছেলে অভিক এন্দান্দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়ার শারীরিক চেকআপ এবং তার কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসব পরীক্ষার জন্য তাকে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
এর আগে রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। এদিন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে জরুরিভিত্তিতে গত ১২ জুন হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। পাঁচ দিন চিকিৎসা নিয়ে ১৭ জুন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক প্রায় দুই মাস পর আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে গুলশানে তার বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।